SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

সবাত শ্বসন (Aerobic Respiration)

যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় মুক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং শ্বসনিক বস্তু সম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে CO2, H2O ও বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে তাকে সবাত শ্বসন বলে

সবাত শ্বসনের রাসায়নিক সমীকরণ নিম্নরূপ:

C6H12O6+602 + 6H2O + 38 ADP+ 38 Pi+বিভিন্ন এনজাইম → 6CO2 + 12H, O + 38 ATP

সবাত শ্বসনের সমগ্র পদ্ধতি নিচে উল্লিখিত ৪টি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। কোষস্থিত প্রধান শ্বসনিক বস্তু গ্লুকোজ বিভিন্ন এনজাইম বিক্রিয়া দ্বারা উক্ত পর্যায়গুলোর মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে CO2, H2O ও শক্তি উৎপন্ন করে । পর্যায়গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো ।

১. গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) : শ্বসনের প্রথম পর্যায়ে গ্লুকোজ কোষের সাইটোপ্লাজমে আংশিক জারিত হয়ে। পাইরুভিক এসিডে পরিণত হয়।

২. পাইরুভিক এসিডের জারণ (Oxidation of pyruvic acid) : পাইরুভিক এসিড মাইটোকন্ড্রিয়ার ম্যাট্রিক্সে (মাতৃকা) প্রবেশ করার পর জারিত হয়ে ২- কার্বনযুক্ত অ্যাসিটাইল Co-A উৎপন্ন করে। এ বিক্রিয়ায় কার্বন ডাইঅক্সাইডের অপসারণ ঘটে বলে একে ডিকার্বক্সিলেশন বিক্রিয়াও বলা হয়।

৩. ক্রেবস চক্র (Krebs cycle) : মাইটোকন্ড্রিয়ার ম্যাট্রিক্সে অ্যাসিটাইল Co-A বিভিন্ন এনজাইম বিক্রিয়ায় বহু জৈব এসিড উৎপাদনের মাধ্যমে চক্রাকার পথে জারিত হয়ে CO2, H2O ও বিজারিত কো-এনজাইম (সহ-উৎসেচক) NADH2, FADH, উৎপন্ন করে।

৪. ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (Electron Transport System) বা অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন(Oxidative Phosphorylation) : ক্রেবস চক্রের পর্যায়গুলো থেকে উদ্ভূত বিজারিত NAD+ ইলেকট্রন পরিবহন শৃঙ্খলের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়ে পরিশেষে অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পানি উৎপন্ন করে। ইলেকট্রম স্থানান্তরের সময় নির্গত শক্তি ADP ও Pi (অজৈব ফসফেট)-কে যুক্ত করে ATP অণু সৃষ্টিতে সাহায্যে করে।

Content added By

Related Question

View More